Skip to main content

আমার ভালো বাসার গল্পঃ

একসাথে পড়তাম ২জন।আলাদা ব্যাচ,প্রথম দেখা কলেজে,মিড টার্ম পরীক্ষার সময়।তার পর কথা শুরু।প্রথমে অল্প,আস্তে আস্তে বাড়ল। একদিন ফোন নাম্বারটাও পেলাম।তখন কথা হত পড়াশোনা নিয়ে,আমার অগোছালো ছাত্রজীবন আর তার সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন।সে আমার সাথে মিশত শুধুই সাজেশানের জন্য।কিন্তু অন্য ছেলেদের সে যেমন ভাব দেখাত আমার সাথে ওই আচরণ পাইনি বলেই হয়ত ওর প্রতি আমার একটা মায়া ছিল।প্রেম তখনও অনেক দূর। 

HSC পরীক্ষা দেয়ার পর ও চলে গেল শহর ছেড়ে, আর আমি রয়ে গেলাম , তখনও কথা হত ফোনে,প্রায়ই আমার উদ্ভট গল্প শুনে ও খিলখিল করে হাসত,আমার বুকে অন্য রকম একটা অনুভূতি হত।বুঝলাম তাকে আমার ভাল লাগে,কিন্তু সে একদিন বলে যে তার কাউকে ভাল লাগে।খুব খারাপ লাগল,কেন নিজেই জানিনা।রেজাল্ট হবার পর হল আসল মজা,ওর রেজাল্ট খারাপ হয়ে গেল,ও প্রায় রাতে কাদত,আমি সান্তনা দিতাম,খুব খারাপ লাগত ওর কান্না শুনে।কিবা আর করতে পারি তখন,তাকে বলতাম সব ঠিক হয়ে যাবে। তারপর থেকে আমার সাথে সম্পর্ক টা আরও গাঢ় হল,কিন্তু তাকে বলতে পারতাম না ভালবাসার কথা,পাছে হারাতে হয় প্রিয় বন্ধুটাকে।তাই দূর থেকে ভালবাসতাম।ভর্তি পরীক্ষার পর ও চান্স পায় চট্টগ্রামে আর আমি চট্টগ্রাম,সিলেট দু জায়গায়।ওর কাছে জানতে চাই কোথায় পড়ব?

ও বলে যেখানে আমার ইচ্ছা,কিন্তু ওর চোখের ভাষা বলছিল আমি যেন এখানেই থাকি।কিভাবে তা বুঝেছিলাম জানিনা,জানি আমার বোঝায় ভুল ছিল না। এক বিকেলে সে বলল তার ঐ পছন্দের মানুষকে ও ভুলে গেছে,খুব খুশি লাগল,কিন্ত আবার বলল এখন তার অন্য একজন কে ভাল লাগে,চোখে অন্ধকার দেখলাম।ও বলল তার এই ভাললাগার মানুষটি আমি।ভাবলাম ছাদ থেকে লাফ দিব(খুশিতে)। সেই থেকে আমাদের সম্পর্ক আজ ১ বছর ৮ মাস ২৭ দিন।ও পড়াশোনা নিয়ে থাকে,আমি আড্ডা নিয়ে,আমার vagabond ভাবের কারণে ইচ্ছামত বকাঝকা করে।ওর শরীর একটু খারাপ হলেই আমার মেজাজ খারাপ হয়,কারও ফোন off থাকলে আরেকজনের চিন্তার শেষ নাই। 

বন্ধুদের অনেকেই প্রেম করে।তাদের প্রেমের definition আমাদের সাথে মেলে না।অনুভূতির প্রকাশ আমাদের দুজনের কাছেই দুর্বলতার প্রকাশ।ভালবাসি একে অপরকে এটা জেনেই ঘুমাতে যাই।এটাই কি যথেষ্ট নয়? তবু কিছু সুখস্মৃতি থাকে। পূর্নিমার সন্ধ্যায় রিকশায় চড়া,একসাথে বৃষ্টিতে ভেজা,বিকেলের ট্রেনে তাকে ভার্সিটি পৌছে দেয়া,দুই হলের ছাদে উঠে রাত জেগে দুজনের গল্প করা,ভবিষ্যতের অদ্ভুত সব পরিকল্পনা,বন্ধুদের চোখ ফাকি দিয়ে পহেলা বৈশাখে ঘোরা(আমাদের relation এর কথা কেউ জানেনা।সবাই জানে আমরা ভাল friend) কিংবা বর্ষায় তার দেয়া কদম ফুল। ভালই আছি আমরা ।

Comments

Popular posts from this blog

প্রতিটি পেট্রোল পাম্পে এই সুবিধা গুলি দেওয়া হয় আপনি কি পান দেখে নিন কি কি সুবিধা

পেট্রোল পাম্প আমাদের রক্ষাকর্তা। যখন আপনার গাড়ি নট নড়ন চড়ন, তখন নিকটবর্তী জ্বালানি স্টেশনে যাওয়া ছাড়া গতি নেই। ইদানীং পাম্পগুলি ফ্রি এয়ার সার্ভিস চালু করেছে। অর্থাৎ নিখরচায় চাকায় হাওয়া ভরে দেবে তাঁরা। দারুণ, না? কিন্তু এখনও অনেকেই এই ফ্রি এয়ার সার্ভিসের বিষয়ে অবহিত নন। সমস্ত পেট্রোল পাম্পই গ্রাহককে বিশেষ কিছু সুবিধা দিতে দায়বদ্ধ। গাড়ির মালিকের আধিকার আছে এই পরিষেবাগুলি বুঝে নেওয়ার। সমস্ত পেট্রল পাম্প থেকে পাওয়া সুবিধাগুলি ১। আপনার বাইক বা গাড়ির চাকায় কম হাওয়া থাকলে পাম্প থেকে বিনামূল্যে ভরে নিন। পরিবর্তে টাকা দাবি করলে, সেই পাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। ২। বিনামূল্যে পানীয় জল এবং শৌচাগার। ৩। ফার্স্ট-এড। ৪। এই সুবিধাগুলি না পেলে বা পাম্প কর্মচারীদের ব্যবহারে অসন্তুষ্ট হলে অভিযোগ করুন। সমস্ত পাম্পে অভিযোগ নিবন্ধনের ব্যবস্থা রাখা বাধ্যতামূলক। ফিল্টার পেপার টেস্ট পেট্রোলের মান সম্বন্ধে সংশয় জাগলে ফিল্টার পেপার টেস্টের দাবি করুন। এই পরীক্ষায়, একখণ্ড ফিল্টার কাগজের ওপর এক ফোঁটা পেট্রোল ফেলা হয়। ফোঁটার রঙ গোলাপি হয়ে গেলে বিশুদ্ধ পেট্রোল। অন্য রঙ হলে ভেজাল