পেট্রোল পাম্প আমাদের রক্ষাকর্তা। যখন আপনার গাড়ি নট নড়ন চড়ন, তখন নিকটবর্তী জ্বালানি স্টেশনে যাওয়া ছাড়া গতি নেই। ইদানীং পাম্পগুলি ফ্রি এয়ার সার্ভিস চালু করেছে। অর্থাৎ নিখরচায় চাকায় হাওয়া ভরে দেবে তাঁরা। দারুণ, না? কিন্তু এখনও অনেকেই এই ফ্রি এয়ার সার্ভিসের বিষয়ে অবহিত নন।
সমস্ত পেট্রোল পাম্পই গ্রাহককে বিশেষ কিছু সুবিধা দিতে দায়বদ্ধ। গাড়ির মালিকের আধিকার আছে এই পরিষেবাগুলি বুঝে নেওয়ার।
সমস্ত পেট্রোল পাম্পই গ্রাহককে বিশেষ কিছু সুবিধা দিতে দায়বদ্ধ। গাড়ির মালিকের আধিকার আছে এই পরিষেবাগুলি বুঝে নেওয়ার।
সমস্ত পেট্রল পাম্প থেকে পাওয়া সুবিধাগুলি
১। আপনার বাইক বা গাড়ির চাকায় কম হাওয়া থাকলে পাম্প থেকে বিনামূল্যে ভরে নিন। পরিবর্তে টাকা দাবি করলে, সেই পাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান।
২। বিনামূল্যে পানীয় জল এবং শৌচাগার।
৩। ফার্স্ট-এড।
৪। এই সুবিধাগুলি না পেলে বা পাম্প কর্মচারীদের ব্যবহারে অসন্তুষ্ট হলে অভিযোগ করুন। সমস্ত পাম্পে অভিযোগ নিবন্ধনের ব্যবস্থা রাখা বাধ্যতামূলক।
ফিল্টার পেপার টেস্ট
পেট্রোলের মান সম্বন্ধে সংশয় জাগলে ফিল্টার পেপার টেস্টের দাবি করুন। এই পরীক্ষায়, একখণ্ড ফিল্টার কাগজের ওপর এক ফোঁটা পেট্রোল ফেলা হয়। ফোঁটার রঙ গোলাপি হয়ে গেলে বিশুদ্ধ পেট্রোল। অন্য রঙ হলে ভেজাল আছে
বিনামূল্যে ফোন
জরুরী অবস্থায়, যে কোনও গ্রাহক বিনামূল্যে পাম্পের টেলিফোন ব্যবহার করতে পারেন। পাম্প কর্মচারীরা অনুমতি না দিলে অভিযোগ নথিবদ্ধ করুন।


জ্বালানির বিল
পেট্রোল ভরার পর বিল চেয়ে নিন। এই বিলেই পেট্রোলের জন্য দেওয়া করের পরিমাণ দেখানো হয়।
দাম প্রদর্শন বাধ্যতামূলক
সব পাম্পের মেশিনেই পেট্রোলের দাম দেখানো বাধ্যতামূলক। কারণ মূল্য জানার অধিকার সকল নাগরিকের আছে।
পেট্রোল বা ডিজেলের ঘনত্ব পরীক্ষা করতে পারেন
দাম দিয়ে কেনা পেট্রোল বা ডিজেলের ঘনত্ব নিয়ে সন্দেহ থাকলে পরীক্ষা করে দেখার দাবি জানাতে পারেন। গড়ির সিলিন্ডারের চার ভাগের তিন ভাগ তেলে ভর্তি করে তাতে যন্ত্র ডুবিয়ে দেখলেই পেট্রোল বা ডিজেলের তাপমাত্রা এবং ঘনত্ব জানা যায়।
পরিমাপ যাচাই করা যায়
যদিও মেশিনে পরিমাণ দেখায়, তার পরেও কোনও সন্দেহ থাকলে গ্রাহক ৫ লিটার পরিমাণের জগে পেট্রোল বা ডিজেল নিতে পারেন। প্রয়োজনে ওই জগের মাপও পরীক্ষা করে দেখা হয়।
অগ্নি নির্বাপক সরঞ্জাম
প্রতিটি পাম্পে অগ্নি নির্বাপণ সরঞ্জাম থাকা বাধ্যতামূলক।

পরিষেবাগুলি না দিলে শাস্তি
প্রথমবার লঙ্ঘনের জন্য ১৫ দিনের জন্য বিক্রয় এবং সরবরাহের ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে।
দ্বিতীয়বার লঙ্ঘনের জন্য ৩০ দিনের জন্য বিক্রয় এবং সরবরাহের ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে।
তৃতীয়বার লঙ্ঘিত হলে ডিলারশিপটি বাতিল করা হবে
।
নাগরিক হিসাবে আমাদের দায়িত্ব
কোনও পাম্পে পেট্রোল বা ডিজেল কিনতে গিলে নাগরিক হিসাবে অনেকগুলি নিয়ম মানা উচিৎ। নিজেদের নিরাপত্তার জন্যই কয়েকটি নীতি কঠোর ভাবে পালন করতে হয়।
১। পেট্রোল বা ডিজেল গাড়িতে নেওয়ার ঠিক আগে ইঞ্জিন বন্ধ করা উচিৎ। নাহলে আগুন লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
২। পাম্প চত্বরে দেশলাই জ্বালানো কিংবা ধূমপান থেকে বিরত থাকা দরকার।
৩। পেট্রোল বা ডিজেলের মতো দাহ্য পদার্থ বোতল বা জারে নেওয়া উচিৎ নয়।
সম্প্রতি আইআইটি কানপুরের এক ছাত্র ‘ফুয়েল কোয়ান্টিফায়ার ডিভাইস’ নামে একটি যন্ত্র তৈরি করেছে। সেই যন্ত্রের সাহায্যে বাইক বা গাড়ির ট্যাঙ্কে কত পরিমাণ তেল আছে তা জানা যাবে মাত্র ১০ সেকেন্ডে। এই যন্ত্রের দাম রাখা হয়েছে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা। চাহিদা বাড়লে ৫০০ টাকার নীচে নামানো যেতে পারে।
২। পাম্প চত্বরে দেশলাই জ্বালানো কিংবা ধূমপান থেকে বিরত থাকা দরকার।
৩। পেট্রোল বা ডিজেলের মতো দাহ্য পদার্থ বোতল বা জারে নেওয়া উচিৎ নয়।
সম্প্রতি আইআইটি কানপুরের এক ছাত্র ‘ফুয়েল কোয়ান্টিফায়ার ডিভাইস’ নামে একটি যন্ত্র তৈরি করেছে। সেই যন্ত্রের সাহায্যে বাইক বা গাড়ির ট্যাঙ্কে কত পরিমাণ তেল আছে তা জানা যাবে মাত্র ১০ সেকেন্ডে। এই যন্ত্রের দাম রাখা হয়েছে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা। চাহিদা বাড়লে ৫০০ টাকার নীচে নামানো যেতে পারে।
Comments
Post a Comment